[আজকের] চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডর ডিপোতে আগুন লাগার সর্বশেষ খবর [দেখুন, জানুন এখানে]
[আজকের] চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডর ডিপোতে আগুন লাগার সর্বশেষ খবর [দেখুন এখানে]
গতকাল রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয় । যার খবর পেয়ে রাত ৯ টার সময় ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট উক্ত স্থানে আসেন । এবং তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন । কিন্তু রাসায়নিক আগুন লাগার কারণে ফায়ার সার্ভিস এর ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম না হওয়ায় পরবর্তীতে আরও নতুন ১৫ টি ফায়ার সার্ভিস এর ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন । সারারাত ধরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড কন্টেইনার ডিপো আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ কিন্তু কোনভাবেই ফায়ার সার্ভিস তা বেড়ে উঠছিল না । ইতোমধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের তিনজন কর্মীসহ পুলিশকর্মীর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে । এ নিয়ে আমরা এর সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩১ জন মারা গিয়েছে এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে ।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গত রাতে হঠাৎ করে আগুনের প্রজ্জলন দেখা যায় । যেখানে সীতাকুণ্ড কন্টেইনার ডিপো রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে আগুন ধরেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে । এমন অবস্থার জন্য চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আনা হয় । আগুন নেভাতে গিয়ে রাত ১১টার দিকে বিস্ফোরণে সমগ্র এলাকা কেঁপে ওঠে। এবং এলাকার বিভিন্ন বাসার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়ে যায় । এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশও হতাহত হয়। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ উক্ত আগুন ডিপোর রাসায়নিক দ্রব্য হতে লেগেছে ।
তবে ইতোমধ্যে রাসায়নিক আগুন নিভানোর জন্য যা যা প্রয়োজন তা আনা হচ্ছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চলছে । এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন পুলিশ সদস্য ও ৫৩ জন ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।সর্ব প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট যায় । যেখানে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয়রা সহায়তা করছে ।